রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

আনন্দবাজারের দিব্যি ~ মানস দাস

বাল ঠাকরে বাধঁবে রাখী শাহরুখের হাতে
বিন লাদেন আর ওবামা আজ করবে চরুইভাতে ।

সৌরভের দাদাগিরি চ্যাপেল চিফ গেষ্ট
নন্দনের পুকুর পাড়ে মম-বুদ্ধ'র রেস্ট ।

মাওবাদীদের বন্দুকে নয় মানুষে আজ ভরসা
পূর্ব দিকে আজ গোধূলি পশ্চিমে ভোর ---ফরসা ।

শিলা পোতা ছেড়ে দিদির ঝাড়পোছ আজ ট্রেনে
মাথা মহামূল্যবান----------হার্ট'টা থাক না ব্রেনে ।

শ্রেণীর লড়াই অহেতুক মউ'তেই সমঝোতা
ফিদেল আর বিল গেটস---এই দুজন মূল হোতা ।

পুজিঁবাদের সাম্যবাদ আর সাম্যবাদের পুজিঁ'র
অন্য একের পরিপূরক ভয় কি সবার রুজি'র ।

ভাবিস তোরা স্বপ্ন এন্ড'-এ এটাই কনক্লুশন
আনন্দ (!) বাজারের দিব্যি-----এটাই ওদের মিশন ।

একনাগাড়ে লিখছে এসব-----হজম হতে বাধ্য
করবে পরখ ? ঠিক না বেঠিক-----আছে তোমার সাধ্য ?

শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

বেকারের আলপনা ~ অনির্বাণ ঘটক


বিপ্লব তুমি ফিরে এসো খোলা চুলে,
বিপ্লব তুমি ফিরে এসো বারবার,
দেশকাল মোছে স্নানের জলের মত,
বিপ্লব তুমি এখনও নির্বিকার?

কেউ বলে, কবি ফুলের গল্প লেখো,
কেউ বলে কবি নিশুতি রাতের প্রেম,
কবি একমনে এঁকে চলে তার লেখা,
রাস্তায় পড়ে রক্ত কমরেডের...

বিপ্লব তুমি রক্তের সাথে এসো,
বিপ্লব এসো জোয়ার ভাটার সাথে,
বিপ্লব তুমি চৌরাশিয়ায় এসো,
বিপ্লব এসো স্লোগানবদ্ধ হাতে,

ফেলে গেছি মায়া, ভুলে গেছি বহুকাল,
তোর সাথে দিন, আগোছালো, দিশাহীন,
ফের যদি তোকে আলগোছে ডেকে নিই,
বিপ্লব, তুই আসবি তো সেইদিন?

বহুদিন হল স্তব্ধ পেপারব্যাক,
রুটি-রুজি মায়া দুর্বিপাকের জাত,
পিছু ফেরবার চেষ্টাও প্রাণপণ,
(শুধু) মুখ চেপে ধরে শাসকের কালো হাত,

এবার ভুলবো পিছু ফেরবার টান,
এবার রক্ত শিরাতে ও ধমনীতে,
এবার মিছিল শেষ যুদ্ধের শুরু,
বিপ্লব, তোকে আসছি আমরা নিতে...

শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

মিছিল ~ অনামিকা

মিছিল থেকে মুখ লুকিয়ে , কোথায় গিয়েছিলাম উধাও
বলব না তা। কিন্তু ফিরে কি দেখছি তা যদি শুধাও ...
বজ্রশব্দে মাইন ফেটেছে। উড়ছে বারুদগন্ধ খালি।
ক্ষমতালোভ পুড়িয়ে দিচ্ছে দুঃখিজনের গৃহস্থালি!
যদিও খুব মেঘ করেছে ... রক্তবৃষ্টি আসছে ঝেঁপে ...
দেখছি চেনা সেই মিছিলই হাঁটছে দৃঢ় পদক্ষেপে।


সময় শুধু নিষ্ঠুর নয়, সেই সাথে সে বড়ই রসিক।
হোর্ডিংএ মুখ প্রকাশ পেলে পাঠায় নানা পারিতোষিক।
মগজ বোঝাই অঙ্কে মেশা নানান শেডের অন্ধকারও।
মধ্যমেধার মধ্যবিত্ত কষছে হিসেব, চাইছে আরও।
মৃত্যুপূজার রাক্ষসীকে বলছে না কেউ "দাঁড়াও ... রোসো" !
সব্বাই চুপ ... অবাক কান্ড ...! পরমপ্রিয় শঙ্খ ঘোষও
বলছেন না, "রক্তে কাদায় ব্যক্ত জীবন যায় না রোয়া !"
মিছিল তবু হাঁটছে। কোনই ভয় নেই তার ... নেই পরোয়া!


খুন হয়ে যায়, ঘাটের ... মাঠের ... হাটের পথের সঙ্গীসাথী।
ছিটকে পড়ছে মাথার ঘিলু, ছিন্ন ব্যাগের আনাজপাতি।
তবু মিছিল এগোয়। আকাশ নতুন আলোয় স্লোগান লেখে।
হতক্লান্ত জীবন ... উঠে দাঁড়ায় ভূমির শয্যা থেকে।
মৃত্যুশীতল সন্ত্রাস আজ করুক যতই হুকুমজারি ...
হার না মানার এই মিছিলে, সারা জীবন থাকতে পারি!
 

বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

এই আমি ~ সুকন্যা

ক্ষতর ভীড়ে গতরখাটা তুচ্ছ রসদ,
খরচ করে হিসাব রাখা পাওনা নগদ...
অবুঝ সঙ্গী পেটের জন্য শুধুই ছুটি,
দিনের শেষে ভাগ্যে জোটে একটু রুটি।
তবুও তো ইচ্ছে করে একটু বাঁচার,
জীবন টাকে রাখছি বাজি রোজই আবার...
হোঁচট খেয়ে হেঁটেই চলি সমস্তদিন,
ফিরিয়ে দেবার অঙ্গীকারে সমস্ত ঋন।
গোলকধাঁধায় হারিয়ে গেছে নিদ্রা আমার,
যত্নে রাখা ইচ্ছেগুলো এখন তোমার...
হাত বাড়িয়ে খুঁজেই চলি কাছের মানুষ,
ভালবাসা দূর আকাশের মিথ্যে ফানুস।
নাগরিক মন দেয় পুড়িয়ে সব অপবাদ,
স্তব্ধতায় ঢাকছি আমার অথৈ বিষাদ।
সংগ্রামী মন স্বপ্ন সাজায় দিনপ্রতিদিন,
কালের ঘরে শনি এবার হবেই বিলীন...
আলোর হদিশ মিলবে এবার,আবীর ওড়াই,
মৃত্যুভিক্ষা চাইনা আর...এবার লড়াই।

সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

মানুষ, তুমি শুনতে পাচ্ছো ~ শ্রদ্ধা

নখের আচঁর ভালবাসলে
শরীরে দাগ- রক্ত রক্ত
কবিতা নয়, কবিতা নয়...
আর্তনাদের শব্দ শুনছো?!


বিপ্লবী মন দেওয়াল লেখে
যুদ্ধে যাবো- যাবোই এবার
বুক পেতে দিই রণক্ষেত্রে
দেখতে পাচ্ছো? শুনতে পাচ্ছো?!


নীরব কোনো একাকীত্মে
সরব কোনো যন্ত্রনামুখ-
অস্থির মন কুচকাওয়াজে
ভুল পা ফ্যালে... বুঝতে পারছো?!


মরক শেষে বেঁচে ফেরা
দু এক জোড়া দোয়েল ফিঙ্গে
সকাল হলেই শিষ দিতে চায়
সভ্যতার ই নিয়ম মেনে;


গুলতি ছোড়ে ওদের দিকে
বদলে যাওয়া ঋতুচক্র
আগুন থেকে ফুল ফোটে না
বুঝতে পারছো? শুনতে পাচ্ছো?!


শুম্ভ নিশুম্ভদের খেলা
মুন্ড নিয়ে কড়চা চলছে
মন গুলো সব মোমের মত
বিষ ঢেলে দে... আগুন গলছে;


হাত টা তো নেই, পা মাথা নেই
বুক, চোখ , মুখ খুবলে গ্যাছে
নিজের কবর খুড়ছি নিজে
পাপ পূন্যের উৎস থেকে............


মানুষ বড় কষ্টে আছে
কান্না কোনো শুনতে পাচ্ছো?!
মানুষ কাঁদছে শুনতে পাচ্ছো?!
শুনতে পাচ্ছো!!!

ঈশ্বরের স্টুডিয়োয়... ~ শ্রদ্ধা

বিলাসবহূল চান ঘরে
মোমের মত শরীর থেকে পিছলে পড়ে জল;
ঠিকরে ওঠে স্বপ্ননীল আলো সেই জলে- হীরের কুচি!


ঠিক এখান থেকে যদি চলে যাই
কোনো ঠিকানাহীন সংসারে
যেখানে খিদের জ্বালায় ক্রন্দনরত শিশু
আর
নিভে যাওয়া উনুনের সামনে বিষণ্ণ মা-


আবার সেখান থেকে
চলে যেতে পারি এমন কোথাও-
যেখানে
পাপ পুন্য, দুর্ভাগ্য সৌভাগ্য, মন্দ ভালো
সব একাকার হয়ে যাচ্ছে
মানুষ পোড়াবার চুল্লীতে।


ঠিক এই দৃশ্যে- ঈশ্বর সাম্যবাদী।।

সাতদিন ~ অনামিকা

সাতটি দিনের আল্‌টিমেটাম
দিয়েছিলেন উনি
জনসভার মিথ্যে ভাষণ
অভ্যেস তাই শুনি।


তারপরে কি? অলীক পথে
রেল গিয়েছে আমতা
ঝাড়্গ্রাম আজ চেঁচিয়ে পড়ে
সাতের ঘরের নামতা।


ওরাই করে রক্ষা রণে-
বনে ও জঙ্গলে
সন্ত্রাসীরা মাসতুতো ভাই
অস্ত্রে কথা বলে।


গ্রাম শহরে গোপন আঁতাত,
মিটিং প্রতিদিনই
সুশীল ওরাই স্বজন এবং
ছদ্ম মাতঙ্গিনী !


ওরা জানেন কয়টি মাথা
রয়েছে কার ঘাড়ে
ভদ্রভাবে রক্তভোজন
মানব অধিকারে-


সে যাক্‌ গে। হোক্‌ কাজের কথা
সাতটি দিনের পরে
নেত্রী গেছেন লালগড়ে?
না- লুকিয়ে আছেন ঘরে?