সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১১

আদালত ও একটি মেয়ে ~ অরুণাচল দত্তচৌধুরী

ত্যাগ করেছি লজ্জাভূষণ, জবাব দেব পাঁজর খুলে

যা জানতে চান প্রশ্ন করুন ... মহামান্য ধর্মাবতার ...

প্রতিরোধের চিহ্ন সকল, সব দেখাব  আঁচল তুলে।

হিসেব দেব অন্ধকারটা কেমন আমায় খাচ্ছিল, তার!

 

আমি শুধুই একটা শরীর, আমার কোনও মন ছিল না

নানান ধারাউপধারায় একটাই কাজ বিচারসভার,

আজকে মেয়ের চরিত্রতে কালির ফোঁটার সংখ্যা গোনা

প্রশ্ন দিয়ে ছিঁড়বে শরীর! নতুন করে ছিঁড়বে ?... 'বার?

 

দেরি হচ্ছে। হোক না দেরি। আমি তাতেও রাজিই আছি।

অন্ধ কুরুপতির সামনে ছিন্ন মেয়ে দাঁড়িয়ে থাকি।

যুগের পরে যুগ চলে যায় ... ক্ষতস্থানে উড়ছে মাছি।

এই বেহায়া বিচারসভায় তাড়া থাকলে চলবে নাকি?

 

একুশ শতক পৌঁছে তবু,সেই কথাটাই বুঝছি খালি

আপনি হুজুর আজ এখনও আগের মতই পুরুষালি!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন